ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে উচিত-অনুচিত মেনে চলা বা ভালোকে গ্রহণ ও মন্দকে বর্জন করে চলাই হলো ব্যবসায়ের নৈতিকতা। ব্যবসায় সমাজ বিজ্ঞানের একটা গুরুত্বপূর্ণ শাখা হওয়ায় এক্ষেত্রে নৈতিকতার বিষয়টি অধিক তাৎপর্যপূর্ণ । ব্যবসায় সমাজের মানুষের একটা গুরুত্বপূর্ণ উপজীবিকা । মানুষ তার প্রয়োজনীয় পণ্য ও সেবার জন্য ব্যবসায়ীদের ওপর নির্ভরশীল । তাই ব্যবসায়ী যদি উচিত-অনুচিত না মানে, সত্য-মিথ্যার পার্থক্য ভুলে যায়, অস্বাস্থ্যকর পণ্য উৎপাদন ও বিক্রয় করে, পরিবেশ দূষণ করে মূল্যবোধ হারায় তখন ঐ সমাজে ব্যবসায় নামক পেশার সম্মান ও মর্যাদা যেমনি থাকে না তেমনি সাধারণ মানুষও প্রতারিত হতে হতে ভালো-মন্দ জ্ঞান হারাতে থাকে । যা ঐ সমাজে অনৈতিক সংস্কৃতির জন্ম দেয় । তাই ব্যবসায় পরিচালনায় কথা-বার্তা, আচার-আচরণ, সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও কার্যক্রম পরিচালনার সকল পর্যায়ে নৈতিক মানদণ্ড মেনে চলাকেই ব্যবসায়ে নৈতিকতা নামে অভিহিত করা হয়ে থাকে । নিম্নে ব্যবসায়ে নৈতিকতার কিছু বিষয় উল্লেখ করা হলো:
পালনীয় বিষয় | বর্জনীয় বিষয় |
১. বৈধ উপায়ে ব্যবসায় চালানো; ২. সকল ক্ষেত্রে সততা বজায় রাখা ও নির্ভরতার গুণ অর্জন করা; ৩. শ্রমিক-কর্মীদের সাথে উত্তম ব্যবহার করা; ৪. সকলের পাওনা যথাসময়ে পরিশোধ করা; ৫. প্রতিষ্ঠানের বাইরে বিভিন্ন পক্ষের প্রতি যথাযথ দায়িত্ব পালন করা; ৬. স্বগোত্রীয় ব্যবসায়ীদের সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তোলা; ৭. পরিবেশ রক্ষায় সাধ্যমতো ভূমিকা রাখা; ৮. সরকারি নিয়ম-রীতি মেনে চলা; ৯. আইনের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করা; ইত্যাদি | ১. প্রতারণা, শঠতা ও ধোকাবাজির আশ্রয় গ্রহণ না করা; ২. ক্ষতিকর ও বেআইনি পণ্য উৎপাদন বা বিক্রয় না করা; ৩. বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি না করা; ৪. একচেটিয়া প্রবণতা পরিহার করা; ৫. মাপে কম না দেয়া; ৬. ক্ষতিকর প্রতিযোগিতায় লিপ্ত না হওয়া; ৭. কর ও রাজস্ব ফাঁকি না দেয়া; ৮. আইন মেনে চলা; ইত্যাদি |